ডাঃ জাকির নায়েক এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

.


৯/১১ এর ঘটনার পর যখন বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে, মুসলিম মানেই
সন্ত্রাসী বলে চতুর্দিকে প্রচার করা হচ্ছে। পৃথিবীর সকল এয়ারপোর্টে যাত্রীদেরকে বিশেষত: মুসলিমদেরকে সীমাহীন হয়রানি করা হচ্ছে, ঠিক তেমনি এক সময়ে ২০০৩ সালের ১২ অক্টোবর দাঁড়ি-টুপি আর মুসলিম অবয়বের এক ব্যক্তি আসলেন আমেরিকার লস এঞ্জেলস এয়ারপোর্টে।
এমনিতেই মুসলিম তার উপরে আবার দাঁড়ি-টুপি। আর যায় কোথায়।
পুরো এয়ারপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো। তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশেষ ঘরে নিয়ে আসা হলো। শুরু হলো জিজ্ঞাসাবাদ। অফিসার :আপনি এখানে কেন এসেছেন? আগন্তুক : একটি পুরস্কার নিতে এসেছি। অফিসার :পুরস্কার? কিসের জন্য কি পুরস্কার?
আগন্তুক :মানবতার জন্য পুরস্কার। International Islamic Internet
University নামক লস এঞ্জেলস এর একটি প্রতিষ্ঠান আমাকে মানবতার জন্য একটি পুরস্কার দিবে, তাই নিতে এসেছি। অফিসার :কেন আপনাকে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে? আপনি কি করেছেন? আগন্তুক : আমি সত্যকে
ভালোবাসি এবং তাকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। আপনাদের যিশু নিজেও গসপল অব জন, ৮ম অধ্যায়ের ৩২ অনুচ্ছেদে বলেছেন, “তোমরা সত্যকে খুঁজে বেড়াও এবং তাকে ছড়িয়ে দাও। সত্যই তোমাকে মুক্ত করবে।” -আমিও এভাবে সত্যকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। আমি একজন দায়ী। দীনুল হককে ছড়িয়ে দেয়াই আমার ধর্ম। এরপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
তাকে আরো বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করতে  লাগলো। তার ব্যাগ নিয়ে খোলা হলো। ব্যাগে একটি ভিডিও ক্যাসেটও পাওয়া গেলো যাতে লেখা ছিলো “জিহাদ এন্ড টেরোরিজম।” এটা দেখে কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের ধরণও পাল্টে গেলো। অফিসার :আপনি কি জিহাদে বিশ্বাস করেন? আগন্তুক:হ্যাঁ। অবশ্যই। এমনকি যিশু নিজেও জিহাদের কথা বলেছেন। সত্যের জন্য চেষ্টা ও সংগ্রাম করতে বলেছেন। আমিও তাতে বিশ্বাস করি। অফিসার :না না, জিহাদ বলতে আপনি কি যুদ্ধ করায় বিশ্বাস করেন?  আগন্তুক :হ্যাঁ, একথা তো বাইবেলেই উল্লেখ আছে। বুক অফ এক্সোডাস এর ২২ অধ্যায়ের ২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,“আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে।”বুক অফ এক্সোডাস এর ৩২ অধ্যায়ের২৭-২৮ অনুচ্ছেদে, বুক অবনাম্বারস এর ৩১অধ্যায়ের ১-১৯ অধ্যায়েওবলা হয়েছে, “যুদ্ধ করতে হবে।”আপনাদের যিশু নিজে গসপলঅব লুক,২২ অধ্যায়ের ৩৬ অনুচ্ছেদে বলেছেন,“তরবারী নিয়ে তোমরা যুদ্ধ করো।”তখন সেখানকার একজনখৃষ্টান অফিসারবললো :সেটি তোআত্মরক্ষার জন্য।আগন্তুক বললেন :হ্যাঁ, আমিওতাই বলি, আত্মরক্ষার জন্য।এভাবে আলোচনার ফলে সেইকাস্টমস

অফিসাররা আরো কৌতুহলী হয়এবং তাকে আরো প্রশ্ন করে।তিনি তার মেধা, জ্ঞান ওপ্রজ্ঞা দ্বারা সবটারই সুন্দর
উত্তর দিয় দেন। তখন তাকেযেতে অনুমতি দেয়া হয়।দেখা গেল, তিনি যখন রুম ত্যাগকরছিলেন তখন তার সাথে এয়ারপোর্টের প্রায় ৭০ জনঅফিসার তাকে ঘিরে তাদের নিজধর্ম ও ইসলামসম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারা বলতে থাকে তারা খুবইবিস্মিত হয়েছে এবং তারা তারমতো এরকম জ্ঞানী লোককখনো দেখেনি।এভাবে সত্যকে অস্বীকার না

করে সুন্দর ভাষার উত্তম জবাবেরদ্বারা এয়ারপোর্ট থেকে যেইব্যক্তিটি বেরিয়ে আসলেন তিনিই হলেন ডাঃ জাকির নায়েক।.তার লেকচার শুনে আজও লক্ষ লক্ষ ইহুদি-খিস্টান মুসলমান হচ্ছেন

0 comments: