ভক্তিযোগে পরমপ্রাপ্তি, পরম সুখের সন্ধান দেওয়া আছে নির্মোহ কামনায়।

 ভারত ইতিহাসের মধ্যযুগে নবদ্বীপ বাঙলায় যখন শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাব ঠিক সেই সময়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের কামরূপ কামতা রাজ্যে প্রবল পরাক্রান্ত মহাজন নরনারায়ণের ভ্রাতা বীর সেনাপতি চিলারায়ের দীক্ষাগুরু শংকরদেব কুচবিহার শহরের অনতিদূরে মধুপুর ধামে তাঁর সত্র স্থাপন করে এই অঞ্চলের রাজবংশী ক্ষত্রিয় অধিবাসীগণকে বৈষ্ণব ধর্মের মন্ত্রে আপ্লুত করেন। স্থানীয় অধিবাসীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের এলো উত্তরণ। মনোশিক্ষা দেহতত্ত্ব, গুরু-শিষ্য ভাবধারা এবং কৃষ্ণপদে নিজেকে সমর্পণ করার ভাবদর্শন প্রভাবিত করলো এই অঞ্চলের মাটির মানুষের প্রাণের গান ভাওয়াইয়াকে। জীবনের জটিল প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা শুরু হল ভাওয়াইয়ার দার্শনিক চিন্তাধারায়। দেহতাত্বিক ভাওয়াইয়ার মাধ্যমে সত্যানুসন্ধানের সুরটি খুঁজে পাওয়া যায়। আত্মপোলব্ধি ঘটলে মনের ভেতরেই মেলে মনের মানুষ –– ‘‘দেহের আয়না খুলি দেখিলে হয় দেহের পাট খুলি দেখিলে হয় মনের মানুষ কোনটে পাওয়া যায় ?’’

0 comments: